মানবসেবা (humanity)হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সেবাধর্ম। তাই স্বামীজি বলে গেছেন,….
“জীবে প্রেম করে যেই জন।সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” ।
– এই বাণী মানুষের কল্যাণে যুগ যুগ ধরে জীবিত থাকবে (humanity)। মানুষের ভালো কর্মকান্ড যখন উর্ধ্ব সীমাকে অতিক্রম করে যায়, তখন আমরা তাকে “মানুষ রুপী ঈশ্বরের আসনে বসাই”।(humanity) এই রকম কর্মকান্ড করে গেছেন মাদার টেরিজা, স্বামী বিবেকানন্দ, মা সারদা দেবী, রাম প্রসাদ,নেতাজী সুভাষ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্যাসাগর,কাজী নজরুল ইসলাম, ভগৎ সিং,মাতঙ্গিনী হাজরা আরো অনেকে।
কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজ, মানবধর্ম ভুলে যাচ্ছে। এখন নিজেকে জাহির করতে শুরু করে দিয়েছে,……
“আমরা শ্রেষ্ঠ, আমরা সবচেয়ে বড়ো”।
– পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো ধর্ম হলো “মানবধর্ম”! (humanity)যে ধর্মের কোন জাত নেই, বিভেদ নেই,হিংসা নেই, সেই হলো মানবধর্ম। বর্তমান প্রজন্মকে যদি আমরা মানবধর্ম সম্পর্কে ভালো মতো জাগাতে না কি? পরবর্তী কালে ধর্মে ধর্মে আঘাত, মারাত্মক ভাইরাসের মতো হয়ে উঠতে পারে। আমাদের মধ্যে এমন একটা চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে হবে, যা সমাজের সবসময় মঙ্গল কার্যে নিয়জিত থাকবে। এর জন্য বুদ্ধিজীবী, শিক্ষামহল, গণমাধ্যমদের প্রচন্ড সজাগ হয়ে, সঠিক তথ্যের সম্প্রচার করা। ভুলকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে তার সঠিকটা তুলে ধরা। মানবধর্ম বলে,…..
“বিভেদের মধ্যে ক্ষণিকের সুখ পাওয়া যায়,
কিন্তু সেই সুখ চিরস্থায়ী নয়”!
– অন্তরের ভালোবাসা নিয়ে একে অপরের প্রতি সম্মান পদর্শন করা। এটাই মানবধর্ম শিক্ষা দেয়,….
“যদি তুমি,আমি সজাগ হই,
তোমায় দেখে শিখবে
আরো, দু- দু’জন ভাই”।
– শিক্ষা হলো সমাজের প্রগতির জোয়ার । কিন্তু তাতে যদি অশিক্ষার আধিপত্য বিস্তার হয়। সেখানে সমাজ ও ভবিষ্যৎ পুতুল খেলার মতো পায়ের তলায় গড়াগড়ি খায়। কারণ অশিক্ষা কখনো “যোগ্য শিক্ষার” মান মর্যাদা দিতে পারেনা। অশিক্ষা হলো, একটা ছল চাতুরীতে ভরা শিক্ষা। এর ভেতরে থাকে জ্ঞানের অভাব। তারাই যদি শিক্ষা পরিচালনা করে। সেই শিক্ষা থেকে সমাজ আর কি শিক্ষা নেবে? যা আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি তার সাক্ষী।
কেন এতো বর্ণ বিভেদ? আজও কিন্তু এর পুরো সমাধান করে উঠতে পারেনি। থেকে গেছে বিভেদ, উচু-নিচু, জাত-পাত,বিচার। একটা সুস্বাস্থ্য সমাজ গড়তে গেলে “মানবিকতার যেমন প্রয়োজন হয়? তেমন ঐক্যবদ্ধের ও ভীষণ প্রয়োজন” তাই,….
“মানব সেবায় প্রাচীর গড়ো সকলে,
একটাই ধর্ম সামনে রেখে।
সে তোমার,আমার
সকলের লাল রক্তে,
গড়ে উঠুক মানবধর্ম ঘরে ঘরে”।