Breaking News

Alipurduar: স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত কুমারগ্রাম থানা ভবনটিকে হেরিটেজ স্বীকৃতির দাবিতে সরব এলাকাবাসী

রিপোর্ট : সুকুমার রঞ্জন সরকার , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার

Alipurduar: স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত কুমারগ্রাম থানা ভবনটিকে হেরিটেজ স্বীকৃতির দাবিতে সরব এলাকাবাসী১৮৯০ সালে ইংরেজ শাসকদের (Alipurduar) হাতে গোড়াপত্তন হয়েছিলো ভারত ভূটান সীমান্তে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম থানা।(Alipurduar) ইংরেজদের হাতে গড়ে ওঠা চা বাগান ও কুমারগ্রাম এর বিস্তীর্ণ এলাকার আইন শৃঙ্খলা দেখভালের প্রয়োজনেই কুমারগ্রাম থানার সৃষ্টি বলে মনে করা হয়। (Alipurduar) ১৮৮৫ সালে কংগ্রেস দল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কুমারগ্রাম এর বিভিন্ন জনজাতির মানুষ ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সংগঠিত হতে শুরু করে। কুমারগ্রাম জুড়ে যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ডুয়ার্স গান্ধী নামে পরিচিত নলিনী পাকড়াশী। তার নেতৃত্বে ব্রিটিশ শাসক বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন মঘা দেওয়ানী, বিপিন দাস, ভৈব্যনাথ দাস, স্বর্ণমোহন পন্ডিত, যোগেন নার্জিনারি, পোয়াতু দাস, দেবেন দাস সহ আরও অনেকে।

সেই সময় কুমারগ্রামের বিভিন্ন হাটে শুরু হয় খাজনা বয়কট। উল্লেখ্য এই হাটগুলি থেকে ইংরেজ শাসকরা খাজনা তুলতেন। কুমারগ্রামের কুলকুলি হাট ছিলো এমন একটি হাট। এই হাটে খাজনা বয়কট আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৪২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুমারগ্রাম থানা দখল ও তারকাটা আন্দোলন হয়। সেদিন বিপ্লবীরা কুমারগ্রাম থানার সাথে মহকুমা শহর আলিপুরদুয়ারে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম টেলিগ্রাফ লাইনের তার কেটে দিয়েছিলেন। তারপর থানা দখল করে ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তেরঙ্গা পতাকা।

কুমারগ্রাম থানা দখল করে সেদিন বিপ্লবীরা এক ইতিহাস রচনা করেছিলেন। এই থানায় সেই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্তরীন করে রাখা হতো। বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী বিপ্লবী সতীন সেন কেও এখানে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছিলো। বর্তমানে থানার নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। সেখান থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম চলছে। থানার পুরনো ভবনটি বর্তমানে আই সি ‘র দপ্তর। এলাকাবাসীর দাবি স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত থানার ভবনটি কে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হোক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।