উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানার দুলালী গ্রাম পঞ্চায়েত বালাজি পাড়ার ঘটনা।(North 24 Parganas) বছর ২১এর, অমিত মন্ডল বিবাহিত।তার সঙ্গে প্রতিবেশী বছর ১৯ এর কলেজ ছাত্রী সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব প্রেম প্রণয় একাধিকবার মেলামেশা ছিল বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবারের লোকজন ।গতকাল শনিবার রাত্রিবেলা অমিতের কাছে মোবাইল ফোনে কল যায় ,দ্রুত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তারপর (North 24 Parganas) থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায় না। অমিতের স্ত্রী মিঠু মন্ডল পরিবারের অন্যান্য সদস্য একদিকে নিকট আত্মীয়-স্বজন শ্বশুরবাড়ি ফোনের যোগাযোগ করলে কেউ তার খোঁজ দিতে পারেনা। সারা রাত খোঁজার পর, আজ সকাল দশটা নাগাদ দেখা যায় বান্ধবী রিয়া মন্ডলের বাড়ির পিছনে একটি আম বাগানে অমিতের মৃতদেহ ঝুলছে।
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তারপর ঐ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের চাপ দিতে থাকলে তারাই স্বীকার করেছে গতকালকে রাত্রিবেলা অমিতকে কলেজ পড়ুয়া মোবাইল ফোন থেকে ডাকা হয়। তারপর অমিতের পরিবার ও গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় সন্দেহের তীর তাকে পরিকল্পনা করে ডেকে এনে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা ছাত্রীর বাড়ির সামনে তারা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ।
ঘটনাস্থলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।ওই কলেজ পড়ুয়া সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ।মৃতের স্ত্রীর দাবি অমিতের সঙ্গে ছাত্রীর একটা সম্পর্ক ছিল আর তার যেরেই তার স্বামীকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে অমিতের ফোন পাওয়া যাচ্ছিল না সুইচ বন্ধ ছিল।
তারপর পুলিশ জেরা করার পর অমিতের মোবাইল ফোন ওই কলেজ পড়ুয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ। কি কারণে অমিত আত্মহত্যা করল? না তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ? পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।মৃতের পরিবার দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছে।